গত মাসে চীনে প্রাইমারি অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। রফতানি বৃদ্ধি ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার কারণে উৎপাদন ইতিবাচক দিকে মোড় নিয়েছে। তবে উৎপাদন বাড়লেও দেশটিতে ধাতুটির চাহিদা নিম্নমুখী। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
অক্টোবরে চীন সব মিলিয়ে ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টন প্রাইমারি অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদন করেছে বলে জানায় ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস। গত বছরের একই সময় চীনে জ্বালানি সংকটের কারণে বিদ্যুৎ ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এতে শীর্ষ অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহারকারী দেশটিতে উৎপাদন ব্যাপক কমে যায়। তবে এ বছর পরিস্থিতি বদলেছে। জ্বালানি সংকট নিরসন হওয়ায় বিদ্যুৎ ব্যবহার স্বাভাবিক হয়েছে।ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকসের দেয়া তথ্যমতে, গত মাসে দৈনিক প্রাইমারি অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ২৯০ টনে। আমদানিকারক দেশগুলোয় চীনা অ্যালুমিনিয়ামের চাহিদা বেড়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে ব্যবহারও ঊর্ধ্বমুখী। এ কারণেই বিগলন কেন্দ্রগুলো উৎপাদন বাড়িয়েছে।চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে চীন ৫৬ লাখ ৮০ হাজার টন অগঠিত ও প্রাইমারি অ্যালুমিনিয়াম রফতানি করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি ২৫ শতাংশ বেড়েছে।এদিকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় উৎপাদন দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে সিচুয়ান প্রদেশ। তবে জলবিদ্যুৎ সংকটের কারণে ইউনান প্রদেশে উৎপাদনে বিধিনিষেধ বজায় ছিল।চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে চীন ৩ কোটি ৩৩ লাখ ৩০ হাজার টন অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদন করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উৎপাদন ৩ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে।এদিকে উৎপাদন বাড়লেও দেশটিতে অ্যালুমিনিয়ামের চাহিদা নিম্নমুখী। করোনাভাইরাস সংক্রমণের নতুন ঢেউ দেশটির অর্থনীতির গতিকে শ্লথ করে তুলেছে। অবকাঠামো নির্মাণ থেকে শুরু করে প্রতিটি খাতেই অ্যালুমিনিয়ামের চাহিদা কম। এতে নিম্নমুখী চাপের মুখে পড়েছে পণ্যটির দর।গত মাসে সাংহাই ফিউচারস এক্সচেঞ্জে ডিসেম্বরে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন অ্যালুমিনিয়াম বিক্রি হয়েছে ১৭ হাজার ৮০৫ ইউয়ান বা ২ হাজার ৫২৪ ডলার ৬০ সেন্টে। ২০২১ সালের এপ্রিলের এর এটি সর্বনিম্ন দাম। দাম কমে যাওয়ার কারণ উৎপাদকদের লাভের পরিমাণও কমছে।এদিকে গত মাসে দেশটিতে তামা, অ্যালুমিনিয়াম, সিসা, দস্তা ও নিকেলসহ ১০টি নন-ফেরাস ধাতুর উৎপাদন গত বছরের এই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে এসব ধাতুর উৎপাদন বেড়েছে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ।