তীব্র খরার কারণে এ বছর আর্জেন্টিনায় গম উৎপাদন নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ২০২২-২৩ মৌসুমে দেশটিতে শস্যটির উৎপাদন ও রফতানি—দুটোই কমবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে রোজারিও গ্রেইন এক্সচেঞ্জ।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছর লাতিন আমেরিকার দেশটিতে সব মিলিয়ে ১ কোটি ১৮ লাখ টন গম উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছর উৎপাদন হয়েছিল ২ কোটি ৩০ লাখ টন। পূর্বাভাস সত্য হলে এটি হতে যাচ্ছে ২০১৪-১৫ বিপণন মৌসুমের পর সর্বনিম্ন উৎপাদন। রোজারিও গ্রেইন এক্সচেঞ্জ বলছে, এবার গত মৌসুমের তুলনায় ৫০ শতাংশ কম গম রফতানি করবে আর্জেন্টিনা। রফতানির পরিমাণ দাঁড়াবে ৭০ লাখ টনে। গত বছর দেশটি ১ কোটি ৪৫ লাখ টন রফতানি করেছিল।
তবে রোজারিওর তুলনায় বুয়েন্স আয়ার্স গ্রেইন এক্সচেঞ্জ কিছুটা আশাবাদী পূর্বাভাস দিয়েছে। এক্সচেঞ্জটি বলছে, এ মৌসুমে আর্জেন্টিনায় ১ কোটি ২৪ লাখ টন গম উৎপাদন হবে। মার্কিন কৃষি বিভাগের ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের দেয়া তথ্য বলছে, ২০২১-২২ বিপণন মৌসুমে আর্জেন্টিনা বিশ্বের ষষ্ঠ শীর্ষ গম রফতানিকারক ছিল। কিন্তু চলতি মৌসুমে তালিকায় এক ধাপ পিছিয়ে যেতে পারে দেশটি।